কর্মজীবন নিয়ে মানসিক চাপে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী: গবেষণা


SUST Correspondent | Published: 2022-04-17 09:45:24 BdST | Updated: 2024-04-19 07:04:29 BdST

করোনা মহামারি পরিস্থিতির কারণে ভবিষ্যৎ কর্মজীবন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া প্রায় ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর মানসিক চাপ বেড়েছে। এ ছাড়া প্রায় ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী বিষণ্ণতায় ভুগছেন। সম্প্রতি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) গবেষকদের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনার সময় এবং পরে কর্মসংস্থানের নিরাপত্তাহীনতাই শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ ও বিষণ্ণতার মূল কারণ।

'ডিপ্রেশন অ্যান্ড স্ট্রেস রিগার্ডিং ফিউচার ক্যারিয়ার অ্যামং ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস্‌ ডিউরিং কভিড-১৯ প্যানডেমিক' শিরোনামে গবেষণায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে বিভাগের তিনজন শিক্ষার্থী অংশ নেন। তারা হলেন- উপমা চৌধুরী, আহসান হাবিব শুভ্র ও সৈয়দ মো. ফারহান। গবেষণা প্রবন্ধটি আন্তর্জাতিক জার্নাল PLoS ONE-এ প্রকাশ করেছে।

অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন জানান, গবেষণার মূল উদ্দেশ্য ছিল করোনার কারণে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ কর্মজীবন নিয়ে মানসিক অবস্থা জানা। শাবিসহ দেশের ৬২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক তৃতীয়, চতুর্থ বর্ষ ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের থেকে তথ্য নিয়ে গবেষণাটি করা হয়েছে।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ভবিষ্যৎ কর্মজীবন নিয়ে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রায় ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী মানসিক চাপে আছেন। শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা মনে করেন করোনার কারণে তাদের ভবিষ্যতের কর্মসংস্থান অনিশ্চিত তাদের বিষণ্ণতা তুলনামূলক বেশি। করোনায় ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের স্নাতক শেষ করতে দেরি হওয়ায় কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের সুযোগ বিলম্বিত হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের হতাশা ও মানসিক চাপ বাড়িয়েছে।

অধ্যাপক জামাল উদ্দিন বলেন, গ্র্যাজুয়েশন বিলম্বিত হওয়া, উপযুক্ত চাকরি পেতে দক্ষতার অভাব, স্টার্টআপ প্ল্যান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ইন্টার্নশিপের সুবিধা না পাওয়া হতাশা ও মানসিক চাপ বাড়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে। গ্র্যাজুয়েশনের পর অনলাইন মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রোগ্রাম এবং ইন্টার্নশিপ দেওয়ার মাধ্যমে সরকারের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোরও এগিয়ে আসা উচিত। তাই শিক্ষার্থীদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রোগ্রাম চালু করতে হবে।