ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অস্থিতিশীল হলে লাভ কার?


www.dhakatimes24.com | Published: 2017-08-09 05:51:55 BdST | Updated: 2024-05-10 05:45:15 BdST

শেখ আদনান ফাহাদঃ বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ৫০ বছর হতে চলল। এতটা সময় পেরিয়ে এলেও কাঙ্ক্ষিত অর্থনৈতিক মুক্তি এখনো অর্জিত হয়নি রাষ্ট্রের। শুধু অর্থনৈতিক মুক্তি কেন, বাঙালি জাতি আজ পর্যন্ত নিজের সাংস্কৃতিক স্বত্বাকেই একটি পরিষ্কার পরিচিতি দিতে পারেনি। এতটা পথ পেরিয়ে এসেও আজ আমাদের বড় পরিচয় যেন বাঙালি মুসলমান কিংবা বাঙালি হিন্দুর মধ্যেই সীমাবদ্ধ। অনেকেই আছেন যারা নিজেদের শুধু মুসলমান কিংবা শুধু হিন্দুর পরিচয় দিতে গর্ববোধ করেন এবং এই অংশটাই হয় ভারত কিংবা পাকিস্তানের দালাল হিসেবে বাংলাদেশে কাজ করতে গিয়ে রাষ্ট্রীয় স্বার্থ বিকিয়ে দিতে সামান্যতম কার্পণ্য করেন না।

বাংলাদেশ যে জাতিগঠনের কাজে বার বার হোঁচট খাচ্ছে, তার অন্যতম কারণ স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির ষড়যন্ত্র। আরেকটা বড় কারণ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা মুখে বললেও ব্যক্তিগত স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে এক শ্রেণির রাজনীতিবিদ ও আমলার লাগামহীন দুর্নীতি। বাংলাদেশে যে কজন ব্যক্তি এই দুই অপশক্তির বিরুদ্ধে দিন-রাত পরিশ্রম করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় রাষ্ট্র নির্মাণের কাজ করে যাচ্ছেন, তাদের অন্যতম আমার মত হাজার হাজার মানুষের শিক্ষক অধ্যাপক আআমস আরেফিন সিদ্দিক। আরেফিন স্যারকে নিয়ে এত কথা হচ্ছে কারণ, তিনি সাধারণ কোনো অধ্যাপক নন, সাধারণ কোনো মানুষ নন যে বেতন-ভাতা নিয়ে বউ-বাচ্চা নিয়ে আরামে সুখের সংসার করে দিন কাটিয়েছেন বা কাটাবেন।

শুধু ক্লাসে পড়িয়ে, গবেষণা করে, পরীক্ষা নিয়ে আর রেজাল্ট দিয়েই নিজের দায়িত্ব ‘শেষ’ বলে মনে করেন না তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হওয়ার আগেই নিজেকে অনেকটা প্রতিষ্ঠানের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগও গত আট বছর ধরে রাষ্ট্র ক্ষমতা পরিচালনা করছে, আরেফিন স্যারও টানা দুই মেয়াদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে কাজ করছেন। মেয়াদ এখন শেষের পথে, আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদও এখন আর বেশী বাকি নেই।

রাজনীতি সচেতন কে না জানে, সরকার পতন হতে দুই জায়গায় অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারলেই হল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর সেনানিবাস-এই দুই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে যদি ‘গণ্ডগোল’ বাধে তাহলে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের চোখ লোভাতুর হয়ে উঠে। নিজেরা নিজেরা গণ্ডগোল না বাঁধলে, তখন ষড়যন্ত্র শুরু হয়। এই সরকারের প্রথম মেয়াদের শুরুতেই ‘বিডিআর’ বিদ্রোহের নামে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের হত্যা ছিল এমনই একটি ষড়যন্ত্র। পরিষ্কার সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেয়া শেখ হাসিনার সরকারকে শুরুতেই দুর্বল বা ধ্বংস করতে দিতে ষড়যন্ত্রকারীরা ‘বিদ্রোহের’ নামে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শক্ত হাতে ও মনে সে কঠিন সময় পার করে এসেছেন। জাতির জনকের হত্যাকারীদের বিচার আইনি প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছেন। গোলাম আযম, সাঈদী, কাদের মোল্লা, মোজাহিদের মত কুখ্যাত মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারও হয়েছে শেখ হাসিনার সরকারের আমলে। রাজনৈতিক এসব সাফল্যের বাইরে অর্থনৈতিক সাফল্যও উল্লেখযোগ্য।

দুর্নীতি, জলাবদ্ধতা, যানজট, বাঁধ ভেসে যাওয়া, শিক্ষা ব্যবস্থায় নানা সমস্যা ইত্যাদি ব্যর্থতা আছে সত্য, এরপরেও আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থনৈতিক সাফল্য আশাবাদী হওয়ার মত। গত ৩ অক্টোবর ২০১৬ সারাবিশ্বের বিভিন্ন দেশের দারিদ্র্য পরিস্থিতি নিয়ে ‘টেকিং অন ইন-ইকোয়ালটি’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল বিশ্বব্যাংক। সেই প্রতিবেদন থেকে আমরা জানতে পারি, বাংলাদেশের অতি দারিদ্র পরিস্থিতির বেশ উন্নতি হয়েছে। দেশে হতদরিদ্রের সংখ্যা কমেছে। সাত বছরের ব্যবধানে প্রায় ৮০ লাখ হতদরিদ্র লোক অতি দারিদ্র্যসীমার উপরে উঠেছে। একাধিক পরিসংখ্যান বলছে, ২০১২ সালে ১৬.৪ শতাংশ, ২০১৩ সালে ১৬.৪ শতাংশ, ২০১৪ সালে ১৮.৭ শতাংশ, ২০১৫ সালে ১৩.৮ শতাংশ এবং ২০১৬ সালে ১২.৯ শতাংশ মানুষ অতি দরিদ্র। সংস্থাটি বলছে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নানামুখী উদ্যোগ আর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকায় বাংলাদেশের হতদরিদ্রের হার ১২.৯ শতাংশে নেমে এসেছে। এই পরিসংখ্যান আওয়ামী লীগের বা সরকারের নিজের নয় যে সন্দেহ করার কোনো অবকাশ আছে। সরকারের সাথে রাজনীতির যুদ্ধে পরাজিত বিশ্বব্যাংক গবেষণা করে উন্নয়নের এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। ফলে একটি সমৃদ্ধ রাষ্ট্র গঠন প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ যে সঠিক পথে আছে সেটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।

আওয়ামী লীগ সরকার দ্বিতীয় মেয়াদও প্রায় শেষ করে এনেছে। এখন ২০১৭ সাল, ২০১৯ সালেই নির্বাচন। ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল বিএনপি-জামাত জোট চেষ্টা করেছে সহিংস আন্দোলন করে সরকারের পতন ঘটাতে। দিনের পর দিন হরতাল, অবরোধ দিয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার অপচেষ্টা চালিয়েছে। শত শত মানুষ মারা গেছে সেসময়, অনেক মানুষ হাত-পা হারিয়ে, চোখ হারিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। সাধারণ মানুষ নয় শুধু, পুলিশে উপর লাগাতার সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে। বহু পুলিশকে হত্যা করা হয়েছে, আহত আছেন অনেকে। এতকিছুর পরেও জনগণের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সমর্থনে বাংলাদেশ ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। জনগণ সরকারের প্রতি সমর্থন দিয়ে হরতাল-অবরোধের সংস্কৃতিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। বাংলাদেশে এখন আর হরতাল হয়না। এ বিরাট রাজনৈতিক সাফল্যের কৃতিত্ব সরকারের একার নয়, জনগণ এখানে বিরাট অবদান রেখেছে। সবকিছু মিলে বলা যায়, বাংলাদেশ কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যের দিকে এগুচ্ছে। বাংলাদেশ যদি মাথা উঁচু করে এভাবে দাঁড়ায়, তাহলে সবচেয়ে বেশী কষ্ট পায় স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি। তাই নির্বাচনের আগে ষড়যন্ত্র হবে স্বাভাবিক। কথা হল, আমরা সেই ষড়যন্ত্রে পা দিব কি না? কেউ ষড়যন্ত্র করবে, কেউ সচেতনভাবে সে ষড়যন্ত্রে অংশগ্রহণ করবে, কেউ পথ হারিয়ে ভুল করবে। শুরু হবে অরাজকতা। তাই সাধু সাবধান।

সরকারের এই সময়ে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়ে শুরু হয়েছে বিশেষ তৎপরতা। আরেফিন স্যার দুইবার উপাচার্য আছেন। তৃতীয়বার উপাচার্য থাকবেন কি না, সেটাই যেন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে! কয়েকদিন ধরে তাঁকে গণমাধ্যমে ব্যক্তিগতভাবে হেয় করা হচ্ছে। তাঁকে ব্যর্থ বলা হচ্ছে!, তাঁকে ক্ষমতালোভী বলা হচ্ছে!

আরেফিন সিদ্দিক স্যার এর সাথে যারা জীবনে একবার দেখা করেছে, সেও বলতে পারবে তিনি কোন ধরনের মানুষ? ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘুমান মাত্র ৩/৪ ঘণ্টা। তিলে তিলে নিজেকে শারীরিকভাবে শেষ করে দিচ্ছেন স্যার। বাকি সময়টা কী করেন? যারা না বুঝে বিরোধিতা করছেন তারা একটু খোঁজ নিয়ে দেখেন। গত আট বছরে আরেফিন স্যার কি এক টাকাও নিজের পকেটে ঢুকিয়েছেন? নিজের পারিবারিক সম্পত্তির বাইরে কি কালো টাকার পাহাড় বানিয়েছেন? বরং কোটি টাকার বৈধ সরকারি বিল ফেরত দিয়েছেন! এটা কোনো সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব? আরেফিন স্যার এর পরিবারের কেউ কি কোথাও মাস্তানি করেছেন? সাধারণ শিক্ষকদের একটা অংশ যেখানে বাড়তি ইনকামের আশায় এখানে সেখানে পড়িয়ে বেড়ান, সেখানে আরেফিন স্যার প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর চেষ্টা করেছেন, এমনটা আজ পর্যন্ত শুনিনি। রিক্সাওয়ালা, ক্যান্টিনের বয় থেকে শুরু করে সমাজের হেন কোনো শ্রেণি ও পেশার মানুষ নেই যে, আরেফিন স্যারের সান্নিধ্য পান না।

স্যার জীবনে কাউকে অপমান করেছেন বা জোরে ধমক দিয়েছেন বলে কেউ অভিযোগ করেননি। পরম শত্রুকে দৃঢ়তার সাথে ভদ্রভাবে মোকাবেলা করেছেন, কিন্তু অপমান করেননি। মানুষের উপকার করে বেড়ানো আরেফিন স্যারের এক ধরনের নেশা বলে আমার মনে হয়। স্যারের ছাত্র হিসেবে আমি সবসময়ই চেয়েছি স্যার যেন আরেকটু বেশী বিশ্রাম নেন, পরিবারকে সময় দেন। আমাদের সবাইতো পরিবারকে প্রাধান্য দিয়ে শান্তি-সুখের আশায় নানা অন্বেষণে ব্যস্ত থাকি। স্যার এখানে ব্যতিক্রম। বিরোধী দলের সময় স্যারের রুম ভাঙচুরের সাথে জড়িত এমন একজনকে স্যার বড় সাংবাদিক বানিয়ে দিয়েছেন, আমি নিজের চোখে দেখেছি। ইউএনবিতে আমার কলিগ ছিল। এখন আওয়ামী লীগ বিটের বড় সাংবাদিক।

এমন একজন মানুষ যখন আকস্মিকভাবে নেতিবাচক নানা বিষয় নিয়ে ক্রমাগত এক শ্রেণির গণমাধ্যমে উপস্থাপিত হন, তখন বোঝার বাকি থাকেনা যে ষড়যন্ত্র চলছে। দুঃখের বিষয় হল, নীল দলেরই একটা অংশ আরেফিন স্যারকে ‘শেষ’ করে দিতে চাইছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেখানে স্যারের উপর আস্থা রাখছেন, সেখানে ইনাদের সমস্যা কী? সমস্যা যে ব্যক্তিগত সেটি আমরা বুঝি। কিন্তু ব্যক্তিগত ‘শত্রুতা’র হিসেব নিতে গিয়ে নীল দলের বড় বড় শিক্ষকরা যে পুরো রাষ্ট্রকেই হুমকির মধ্যে ফেলছেন, সেটা কি ভেবে দেখেছেন? অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিককে যদি আপনারা সহ্য করতে না পারেন, সেটা আপনাদের ব্যক্তিগত অধিকার ও সমস্যা। এর জন্য ব্যক্তিকে টার্গেট করে রাজনৈতিক বিরোধী শক্তির সাথে হাত মিলিয়ে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার বিপদজনক কাজে লিপ্ত হতে পারেন না। জাতির জনকের দল আওয়ামী লীগের পরিচয়কে যদি আপনারা গুরুত্ব দিয়ে থাকেন, তাহলে সবাই নতুন করে ভাবুন। স্বাধীনতাবিরোধীরা রাষ্ট্র ক্ষমতায় এলে সবার আগে আক্রান্ত হবেন আপনারা। স্বাধীনতাবিরোধীরা যে আবার রক্তের খেলায় মাতবে, সেটি কিন্তু সিলেটের বিয়ানিবাজারে দেখিয়ে দিয়েছে।

ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে কিছু বলতে চাই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার নামে একটি পেইজ আছে। সেখানে দেখলাম, আরেফিন স্যারকে নিয়ে কিছু সাধারণ-অসাধারণ ছাত্র আজে বাজে কথা বলছে। শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে কথা উঠেছে। শিক্ষক নিয়োগে সহকারী অধ্যাপক লেভেল থেকে শুরু করে উপরের দিকে সরাসরি ভূমিকা রাখতে পারেন উপাচার্য। প্রভাষক নিয়োগে সরাসরি ভূমিকা রাখার কোনো সুযোগ কিন্তু উপাচার্যের নেই। উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) হলেন এই প্রভাষক নিয়োগ বোর্ডের প্রধান। অথচ সবকিছুর জন্য আরেফিন স্যারকেই দোষারোপ করা হচ্ছে! আর ‘অযোগ্য’ শিক্ষক কি শুধু আওয়ামী লীগের গ্রুপেই আছে? বড় বড় প্রগতিশীল কত শিক্ষক দেখলাম, যাদের ক্লাসরুমে ছাত্র-ছাত্রীদের চোখের দিকে তাকিয়ে সরাসরি কথা বলার সাহস নাই। ক্লাসে নোট নিয়ে আসেন। স্লাইড না থাকলে দুই কথা নিজে থেকে বলার যোগ্যতা নাই অনেক বড় বড় প্রগতিশীলের। অথচ এদের নিয়ে কোনো কোনো গণমাধ্যম কোনোদিন রিপোর্ট করবেনা, কারণ এরা যোগসাজশে চলে। গত আট বছর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়নি বলে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা বুঝতে পারছেনা, সেশন জট, হল খালি করার নির্দেশ ইত্যাদি বিষয়গুলো কেমন বিপদজনক। ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্র সফল হলে, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হলে ছাত্র-ছাত্রীদের আফসোস করা ছাড়া কিছু করার থাকবেনা।সবকিছুর জন্য উপাচার্যকেই দোষারোপ করা হলে বুঝে নিতে হবে ষড়যন্ত্র চলছে। আপনার ব্যক্তিগত ইচ্ছাপূরণ করতে গিয়ে, পুরো বাংলাদেশকে শেষ করে দেয়ার পরিবেশ সৃষ্টি করছেন কি না, সবাইকে একটু ভেবে দেখার অনুরোধ রইল।

লেখকঃ শিক্ষক ও সাংবাদিক

 

এমএসএল