সারাদেশে মেস ভাড়া মওকূফের আহবান ছাত্রলীগ নেতার


Dhaka | Published: 2020-05-01 04:06:18 BdST | Updated: 2024-09-29 06:20:03 BdST

দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে জাতির আশার বাতিঘর হিসেবে দাড়িয়েছে আমাদের প্রানপ্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশের প্রতিটি জেলায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ থেকে শুরু করে করোনা সচেতনতা লিফলেট বিতরণ, দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে ত্রাণ সামগ্রী ও খাবার বিতরণ, গরিব কৃষকের ধান কেটে দেওয়া, আত্বিয় স্বজন ছেড়ে যাওয়া করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা ও মৃত রোগীর সৎকারসহ বিভিন্ন ভাল কাজ করে দেশব্যাপী সবার প্রশংসা কুড়িয়েছে আমাদের প্রাণের ছাত্রলীগ।

এসব কাজের ধারাবাহিকতায় আর একটি কাজ করতে অনুরোধ করবো, বিভিন্ন পত্রিকায় মেস ভাড়া নিয়ে নিউজ হয়েছে। কোথাও কোথাও মেস মালিকরা ফোন করে আমাদের শিক্ষার্থী বন্ধুদের থেকে ভাড়া দাবী করছে। দুর্বিষহ এই দিনগুলোতে অনেক ছাত্রবন্ধুর জন্য এটি বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে।

বর্তমান করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন যে করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। মেসে থাকা শিক্ষার্থীগণ বিগত ১৭/৩/২০২০ইং তারিখে স্কুল কলেজ বন্ধ ঘোষণা হওয়ার পর থেকে নিজ নিজ বাসায় অবস্থান করছে। এমত অবস্থায় মেসে থাকা শিক্ষার্থীদের আরো প্রায় চার-পাঁচ মাসের মতো বাসায় থাকতে হতে পারে। কিন্তু মেস মালিকগণ ভাড়া পরিশোধ করতে তাগিদ দিচ্ছেন, চাপ সৃষ্টি করছেন।

শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৮০ ভাগ শিক্ষার্থী গ্রামের দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা, সবাই কৃষক পরিবারের সন্তান। কৃষি কাজ যাদের একমাত্র জীবিকা নির্বাহ করার অবলম্বন হিসেবে গণ্য। শিক্ষার্থীদের মাঝে কিছু শিক্ষার্থী শহরে এসে টিউশনি করে, পার্ট টাইম জব করে কিছুটা নিজের খরচ বহন করে, সম্ভব হলে পরিবারকে ও সাহায্য করে থাকে। কিন্তু দেশের এই অনাকাঙ্ক্ষিত করোনা ভাইরাস পপরিস্থিতিতে সব কিছু বন্ধ থাকায় আয়রোজগারের কোন উৎস নেই।

এমতাবস্তায় সারাদেশে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের অনুরোধ করবো আপনারা উদ্যোগ নিয়ে নিজ নিজ এলাকায় মেস মালিক ভাইদের অনুরোধ করুন তারা মানবিক বিবেচনায় বিষয়টি যেন দেখে৷ সম্ভব হলে ভাড়া মওকূফ করার ব্যবস্থা করুন, না হলে অন্তত বড় একটা অংশ ছাড় দেয়ার অনুরোধ করুন। বিভিন্ন শাখা ছাত্রলীগের প্যাডেও এই মানবিক আহবান জানাতে পাবেন, ব্যক্তিগত ভাবেও অনুরোধ করতে পারেন।

একটি কথা মনে রাখতে হবে, ছাত্ররাজনীতির প্রধানতম কাজ হলো ছাত্রবন্ধুদের পাশে থাকা। আমি জানি আপনারা যেসব চ্যালেঞ্জিং কাজ করছেন, সে তুলনায় এটি তেমন কোন কঠিন কাজেই না। আশাকরি বিষয়টি ভাবে দেখবেন।

লেখক,

ফেরদৌস আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক,
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ।