বাজেটের অব্যবহৃত অর্থ শিক্ষার্থী সহায়তা ফান্ডে হস্তান্তরের দাবী ডাকসু জিএসের


ঢাবি টাইমস | Published: 2020-06-22 17:24:14 BdST | Updated: 2024-09-29 04:46:55 BdST

বাজেটের অব্যবহৃত অর্থ শিক্ষার্থী সহায়তা ফান্ডে হস্তান্তরের দাবী জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসুর জিএস গোলাম রাব্বানী। এক ফেইসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তিনি এ দাবি জানান। মিম্নে তার ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো:

গত ১৪ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সিনেট অধিবেশনে আমার নির্ধারিত বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে, দুটি বিষয় নিয়ে কথা বলেছি।

১. বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে বহুল প্রত্যাশিত 'Master Plan' প্রণয়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মতামত /পরামর্শ /পর্যবেক্ষণ গ্রহণের দাবী জানাই, যার প্রেক্ষিতে গতকাল সিনেট ভবনের সেমিনার কক্ষে দীর্ঘ ৪ ঘন্টার মিটিংয়ে (সকাল ১১.০০- বিকাল ৩.০০ ঘটিকা) 'Master Plan' প্রণয়ণে গঠিত 'Expert কমিটি'র সভায় মাননীয় উপাচার্য মহোদয়ের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হিসেবে ডাকসুর ভিপি, জিএস ও এজিএস শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা, মতামত, পরামর্শ ও পর্যবেক্ষণ সবিস্তার তুলে ধরেছেন এবং সেই আলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান অবকাঠামো বিবেচনা করে সম্ভাব্য সেরা প্লান প্রস্তুত করতে প্লান প্রণয়নকারী প্রতিষ্ঠান, 'মেসার্স ডাটা এক্সপার্ট (প্রাইভেট) লিঃ' এর সাথে একযোগে কাজ করবে ইনশাআল্লাহ।

২. শিক্ষার্থীদের পক্ষে আমার দ্বিতীয় দাবীটি ছিলো, আমাদের ডাকসুর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্ধারণ করে দেয়া বার্ষিক বাজেটের অব্যবহৃত অংশ (১ কোটি ৮৯ লক্ষ টাকা বাজেটের মধ্যে প্রায় ৯০ লক্ষ টাকা) যেন আমরা ডাকসুর অনন্য উদ্যোগ, 'শিক্ষার্থী সহায়তা ফান্ড' এর মাধ্যমে এই দুর্যোগকালীন সময়ে অসহায় ও অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের সহায়তা প্রদানে ব্যবহার করতে পারি। এমনকি আমার ব্যক্তিগত খরচ (জিএস হিসেবে), কন্টিনজেন্সির জন্য বরাদ্দ ৫ লক্ষ টাকার অব্যবহৃত ৩ লক্ষ টাকাও এই ফান্ডে হস্তান্তরে ইচ্ছুক।

ইতিপূর্বে ডাকসুর এই ফান্ড আমি এবং এজিএস Saddam Hussain আমাদের ব্যক্তিগত দুই লক্ষ টাকা দিয়ে শুরু করি, পরবর্তীতে অনেকেই সাহায্যের বাড়িয়ে দিলে এযাবৎ আমরা ৭০০ শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ পেয়েছি, আমাদের কাছে আরো ১ হাজারের অধিক শিক্ষার্থীর মানবিক আবেদন রয়েছে এবং ডাকসু পরিবার কাউকেই নিরাশ করতে চায় না, তাই শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে আমাদের বাজেটের টাকা আমরা এই ফান্ডে দিতে আগ্রহী।

আশা করছি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের মানবিক ইচ্ছার প্রতি সম্মান দেখিয়ে দ্রুত অর্থ ছাড়ের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।

বিঃদ্রঃ চরম অপ্রতুল বাজেট এবং অর্থ উত্তোলন নিয়ে প্রশাসনের গড়িমসি ও অসহযোগিতামূলক মনোভাব আমাদের স্বাভাবিক কাজের গতিকে বারংবার ব্যহত করেছে, এবং বিগত ২৮ বছর যাবৎ ছাত্র সংসদের জন্য শিক্ষার্থীদের দেয়া প্রায় ৯ কোটি টাকার ন্যায্য পাওনা থেকে ডাকসুকে বঞ্চিত করা হয়েছে। সুতরাং, শিক্ষার্থীদের মানবিক প্রয়োজনে ডাকসুর অব্যবহৃত ফান্ড ছাড়ে প্রশাসন গড়িমসি করলে সেটা কোনভাবেই মেনে নেয়া হবে না। এই বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীর ইতিবাচক সমর্থন ও সহযোগিতা একান্ত কাম্য।

লেখক: গোলাম রাব্বানী