হাজারো সম্ভাবনার পর্যটন - বাংলাদেশ


Dhaka | Published: 2020-09-12 17:04:39 BdST | Updated: 2024-09-29 04:49:28 BdST

প্রাচীন সময় থেকে মানুষের অজানাকে জানার প্রবল আগ্রহ থেকে সৃষ্টি পর্যটনের। পর্যটন আধুনিক বিশ্বে বর্তমান সময়ে একটি বৃহত্তম শিল্পে পরিণত হয়েছে এবং এই শিল্পের ক্রমবর্ধমান অগ্রযাত্রা অর্থনৈতিক খাতকে একটি শক্তিশালী অবস্থান ধরে রাখতে প্রতিনিয়ত সফলতার দ্বার উন্নমোচনে সদা অগ্রসরমান। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন শিল্পে যখন মন্দা পরিলক্ষিত হচ্ছে, তখনই সারা বিশ্বে অতি দ্রæত স¤প্রসারণশীল ও বহুমাত্রিক শিল্প হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটেছে পর্যটন শিল্পের। এই শিল্প শুধুমাত্র আর্থসামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব বহন করে না সেই সাথে টেকসই উন্নয়নের অগ্রগতিকে সচল রাখতে বদ্ধ পরিকর।

পর্যটন শিল্প পৃথিবীর একক বৃহত্তম শিল্প হিসাবে স্বীকৃত। পর্যটনের গুরুত্ব সার্বজনীন। পৃথিবীর প্রায় সকল দেশে পর্যটন এখন অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকার খাত। পর্যটন ১০৯ টি শিল্পের সাথে সরাসরি যুক্ত। পর্যটন বর্তমানে পৃথিবীর অন্যতম প্রধান অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের হাতিয়ার। পর্যটনের মধ্যে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন সাধিত হয়ে থাকে। ২০১৭ সালে বিশ্বের জিডিপিতে ট্যুরিজম অবদান ছিল ১০.৪ শতাংশ যা ২০২৭ সালে ১১.৭ শতাংশে গিয়ে পৌঁছাবে। এছাড়া ২০১৭ সালে পর্যটকদের ভ্রমণখাতে ব্যায় হয়েছে ১৮৯৪.২ বিলিয়ন ডলার। আর একই বছর পর্যটনে বিনিয়োগ হয়েছে ৮৮২.৪ বিলিয়ন ডলার। পর্যটনকে বলা হয় একটি শ্রমবহুল ও কর্মসংস্থান তৈরীর অন্যতম হাতিয়ার। বর্তমানে পৃথিবীর ১০টি কর্মসংস্থানের মধ্যে ১ টি কর্মসংস্থান তৈরি হয় পর্যটন খাত। ২০১৭ সালে প্রায় ১১ কোটি ৮৪ লাখ ৫৪ হাজার কর্মসংস্থান তৈরী হয় পর্যটন খাতে। যা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ খাত মিলিয়ে প্রায় ৩১ কোটি ৩২ লাখ। অর্থ্যাৎ মোট কর্মসংস্থানের ৯.৯ শতাংশ তৈরী হয় পর্যটন খাতে। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের জিডিপি খাতে পর্যটন শিল্পের মোট অবদান ছিল ৮৫০.৭ বিলিয়ন টাকা। আর এইখাতে কর্মস্থান তৈরী হয়েছে মোট ২৪ লাখ ৩২ হাজারটি। সুতরাং এই পরিসংখ্যান থেকে বুঝা যায় আমাদের দেশ পর্যটন শিল্পে কতটা পিছিয়ে আছে।
বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে যুগে যুগে বহু পরিব্রাজক এবং ভ্রমণকারী মুগ্ধ হয়েছেন। স্বাভাবিকভাবে এ সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন-সম্ভাবনা অপরিসীম। আমাদের রয়েছে সুবিশাল সমুদ্র সৈকত, পাহাড়, অরণ্যঘেরা জলপ্রপাত, প্রতœতত্তে¡র প্রাচুর্য, ঐতিহাসিক নিদর্শনসহ নানা ধরনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমÐিত স্থান, যা পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে আমাদের এ শিল্প অনেকটা আড়ালে পড়ে রয়েছে। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে আকর্ষণীয় করার অন্যতম উপায় হতে পারে পর্যটন শিল্প। একটি দেশের সুপ্রাচীন ইতিহাস-ঐতিহ্য আর বৈচিত্র্যময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপস্থাপনের ক্ষেত্রে পর্যটন অপরিহার্য নিয়ামক। ‘পর্যটন’ অর্থনীতির একটি বিশেষ খাত—এমন ধারণার বিকাশ ঘটে পঞ্চাশ-ষাটের দশকে। তবে আমাদের দেশে অনেক কিছুর পরিবর্তন ঘটলেও পর্যটন শিল্পের চিত্র এখনো অনেক বিবর্ণ। পর্যটন যে আমাদের অর্থনীতির একটি বিশাল খাত হতে পারে—এ ধারণার বিকাশ ঘটে মূলত পঞ্চাশের দশকে। এরপর ১৯৯৯ সালে পর্যটনকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার পর্যটন কর্পোরেশনের মাধ্যমে এ শিল্পকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন। যার ধারাবাহিকতায় পর্যটনবোর্ড ২০১০ সালে গঠন করা হয়।

নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সমৃদ্ধ ইতিহাস, বৈচিত্র্যপূর্ণ সংস্কৃতি আমাদের দেশকে পরিণত করেছে একটি বহুমাত্রিক আকর্ষণ সমৃদ্ধ অনন্য পর্যটন গন্তব্যে, যা বাংলাদেশকে গড়ে তুলেছে পর্যটকদের জন্য তীর্থস্থান হিসেবে। আমাদের দেশে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার রয়েছে, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন রয়েছে, রয়েছে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত যেখান থেকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দুটোই দেখা যায়। শৈবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিন, রামুর বৌদ্ধ মন্দির, হিমছড়ির ঝরনা, ইনানী সমুদ্র সৈকত, বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক, হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপ, টাঙ্গুয়ার হাওড়, টেকনাফ সহজেই পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। পার্বত্য চট্টগ্রামের সবুজ পাহাড়ি অঞ্চল দেখে কেউ কেউ আত্মভোলা হয়ে যায়। আবার আমাদের দেশে অনেক ঐতিহাসিক এবং প্রতœতাত্তি¡ক স্থানও রয়েছে। বগুড়ার মহাস্থানগড়, নওগাঁর পাহাড়পুর, দিনাজপুরের কান্তজীর মন্দির, ঢাকার লালবাগ কেল্লা, আহসান মঞ্জিল, বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদ, খান জাহান আলীর মাজার, রাজশাহীর বরেন্দ্র জাদুঘর, কুষ্টিয়ার লালন সাঁইয়ের মাজার, রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়ি শুধু দেশীয় নয়, বরং বিদেশি পর্যটক ও দর্শণার্থীদের নিকটও সমান জনপ্রিয় এবং সমাদৃত।

প্রায় প্রতি বছরই হাওরের ফসল অতল জলে তলিয়ে যাওয়ার দুঃসংবাদ পাই আমরা। এই বছর তা আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। অথচ অসাধারণ প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ এই অবহেলিত হাওড়ে পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন পারে টেকসই (ঝঁংঃধরহধনষব) উন্নয়নে পথ দেখাবে। হাওড়ের পর্যটনের দিকে সরকার তথা পর্যটন বোর্ড, পর্যটন কর্পোরেশনের সুদৃষ্টি নিক্ষেপ তাদের অভ‚তপূর্ব পরি¯ি’তি উন্নয়নে বিশেষ ভ‚মিকা রাখতে পারে। সেই সাথে বাংলাদেশের ভ্রমন পিপাসুদের সৌর্ন্দয পিপাসা মিটাবে। ফলশ্রæতিতে তাদের অর্থনীতিকে করে তুলতে পারে গতিশীল ও টেকসই।

বর্তমানে বিশ্বব্যাপী পর্যটকের সংখ্যা প্রায় ৯০ কোটি। ধরা হচ্ছে ২০২২ সাল নাগাদ এ সংখ্যা দাঁড়াবে ১৬০ কোটি। পর্যটন বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বিপুল সংখ্যক পর্যটকের প্রায় ৭৩ শতাংশ ভ্রমণ করবেন এশিয়ার দেশগুলোতে। এছাড়াও বিশ্ব পর্যটন সংস্থার তথ্যমতে, ২০১৮ সালের মধ্যে এ শিল্প থেকে ২৯ কোটি ৭০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে, যা বিশ্ব অর্থনীতিতে অবদান রাখবে ১০.৫ ভাগ। বাংলাদেশ যদি এ বিশাল বাজার ধরতে পারে তাহলে পর্যটনের হাত ধরেই বদলে যেতে পারে বাংলাদেশের অর্থনীতি।

পর্যটন সক্ষমতা বা প্রতিযোগিতার (টিটিসিআই) দিক থেকে ১৪৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১১৮। পর্যটনকে কেন্দ্র করে অর্থনীতির বিকাশ ঘটিয়ে ইতোমধ্যে বিশ্বের অনেক দেশ প্রমাণ করেছে ‘পর্যটন গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক শক্তি।’ বিশ্ব পর্যটন সংস্থার হিসেবমতে, সিঙ্গাপুরের জাতীয় আয়ের ৭৫ শতাংশই আসে পর্যটন খাত থেকে। তাইওয়ানের ক্ষেত্রে এর পরিমাণ জাতীয় আয়ের ৬৫ শতাংশ, হংকংয়ে ৫৫ শতাংশ, ফিলিপাইনে ৫০ শতাংশ ও থাইল্যান্ডে ৩০ শতাংশ। মালদ্বীপের অর্থনীতি প্রায় পুরোটাই পর্যটন খাতের ওপর নির্ভরশীল। ক্যারিবিয়ান দ্বীপগুলোও মূলত পর্যটননির্ভর। মালয়েশিয়ার বার্ষিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ৭ শতাংশই আসে পর্যটন খাত থেকে । এশিয়ার সুইজারল্যান্ড নামে খ্যাত ভুটান ও পর্যটনে এখন অনেক এগিয়ে।

পর্যটন শিল্পে বাংলাদেশের রয়েছে অপার সম্ভাবনা। বাংলাদেশকে বিশ্বের দ্রæত বর্ধনশীল ১০টি পর্যটন কেন্দ্রের একটি হিসেবে ভাবা হচ্ছে। এ শিল্পের যথাযথ সমৃদ্ধির জন্য যথাযথ সরকারি নীতি প্রণয়ন এবং জাতীয় বাজেটে বাস্তবসম্মত অর্থ বরাদ্দ প্রয়োজন। পর্যটন শিল্পকে আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে, কারণ বেকারত্ব বিমোচন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির ব্যাপক সুযোগ এনে দিতে পারে এই শিল্প। ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কাউন্সিলের (ডবিøওটিটিসি) ২০১৪ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৩ সালে বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পে ১২ লাখ ৮১ হাজার ৫০০ লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে, যা বাংলাদেশের সর্বমোট কর্মসংস্থানের ১.৮ ভাগ। বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের ওপর প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে ২৭ লাখ ১৪ হাজার ৫০০টি চাকরির সৃষ্টি হয়েছে, যা সর্বমোট কর্মসংস্থানের ৩.৭ ভাগ। ডবিøওটিটিসি’র মতে, এ বছরের শেষে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান দাঁড়াবে ৩৮ লাখ ৯১ হাজার, যা বাংলাদেশের সর্বমোট কর্মসংস্থানের ৪.২ ভাগ। এর ফলে বাংলাদেশের এ শিল্পে বার্ষিক কর্মসংস্থানের প্রবৃদ্ধি ২.৯ ভাগ। পর্যটন শিল্পের জিডিপিতে প্রত্যক্ষ অবদানের ভিত্তিতে ১৭৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের অবস্থান ১৪২তম। উপরের এই ছোট আলোচনা থেকে বোঝা যায়, এ দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে পর্যটন শিল্প বড় নিয়ামক হতে পারে। এজন্য যথাযথ সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ জরুরি। আমাদের দেশের প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃৃতিক বৈচিত্র্যকে কাজে লাগিয়ে লাখো দেশি-বিদেশি পর্যটক আকর্ষণ করা সম্ভব। এ শিল্পের ওপর ভিত্তি করে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ।

পর্যটনে রাজধানী হিসেবে খ্যাত কক্সবাজার বিশ্বের দীর্ঘতম ৮০ কিলোমিটারের মেরিন ড্রাইভ সড়ক নতুন করে পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষন করেছে। পাশাপাশি কক্সবাজারে বেড়াতে আসা বিদেশি পর্যটকদরে জন্য পৃথক ট্যুরিস্ট জোন করা হ”েছ। সাবরাং অঞ্চলে ঊীপষঁংরাব ঞড়ঁৎরংঃ তড়হব প্রায় ১০০ একর জায়গায় প্রতিষ্ঠিত হ”েছ। ২০২০ সাল নাগাদ দেশে পর্যটকদের সংখ্যা ১০ লাখে উন্নীত করার টার্গেট নেওয়া হয়েছে। এজন্য 'ঠরংরঃ ইধহমষধফবংয' নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন চলছে।
‘নীল দিগন্ত’ নামে খ্যাত বান্দরবনের থানচির পাহাড়চূড়ায় একটি নয়নাভিরাম মনমুগ্ধকর পর্যটন ¯’াপনা গড়ে উঠেছে। বর্ষায় মেঘের লুকোচুরি ও খেলা পর্যটকদের মায়া কাড়বে নিঃসন্দেহে।

‘দ্বীপের রানী ভোলা’ ব্রান্ডকে পর্যটকদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। এরই অংশ হিসেবে ভোলার পর্যটন দ্বীপ কুকরী মুকরীকে নতুন রূপে সাজাঁনো হয়েছে।

বিশ্বে দিন দিন ইকোট্যুরিজমের (ঊপড়-ঞড়ঁৎরংস) গুরুত্ব বেড়েই চলেছে। ইকোট্যুরিজম হ”েছ কোন এলাকার ¯’ানীয় জনগনের অংশ গ্রহণ ও ব্যাব¯’াপনায় প্রকৃতিকে উপভোগ করা। বিশ্বের সর্বাধিক বৃষ্টিবহুল অঞ্চল চেরাপুঞ্জির খুব কাছেই অব¯ি’ত রামসার সাইট টাঙ্গুয়ার হাওড়। হাওড়ের চারপাশে রয়েছে প্রায় শতাধিক গ্রাম। প্রাকৃতিক পরিবেশের আধাঁর এ অঞ্চলটি হতে পারে পর্যটকদের এক অভয়ারন্য। মূলত বর্ষার পানি এবং শীত কালে হাওড় ঘুরে বেড়ানো নতুন রূপে বাংলাদেশকে পরিচয় করে দেওয়া যেতে পারে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, মানুষদের সংগ্রামী ও সাহসী জীবন-যাপন পর্যটকদের মুখরিত করবে নিঃসন্দেহে।

পর্যটন শিল্পকে গুরুত্ব দিয়ে ২০৩০ সাল নাগাদ টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট বা ঝঁংঃধরহধনষব উবাবষড়ঢ়সবহঃ এড়ধষ (ঝউএ) বর্তমান সরকার যথেষ্ট গুরুত্ব দি”েছ। জাতিসংঘ এ বছর পালন করছে ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ণবধৎ ড়ভ ঝঁংঃধরহধনরষরঃু বা আর্ন্তজাতিক টেকসই উন্নয়ন বর্ষ। ‘উন্নয়নের জন্য চাই টেকসই পর্যটন’। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ টঘডঞঙ প্রণীত এষড়নধষ ঈড়ফব ড়ভ ঊঃযরপং বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আমরা যদি এই এষড়নধষ ঈড়ফব ড়ভ ঊঃযরপং মেনে চলতে পারি তাহলে বাংলাদেশ টেকসই পর্যটন উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ হতে পারবে। এছাড়া জাতিসংঘ ঘোষিত ঝউএ অর্জনের একটি অনুসরনীয় দেশ হতে পারে।

পর্যটনের জন্য চাই সমন্বিত উদ্যোগ। শুধুমাত্র বিনোদনই নয়, জীবনের নানা প্রয়োজনে নানা কারনে আমরা দেশে-বিদেশে ভ্রমন করে থাকি। সৃষ্টির অপার সম্ভারের মাঝে লুক্কায়িত আছে নানা রহস্য, সৌন্দর্য। সুন্দর অনুপম প্রকৃতির সান্নিধ্য লাভ ও জ্ঞান অন্বেষনে ভ্রমনের বিকল্প নেই। পর্যটন এ ক্ষেত্রে মানুষের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। বাংলাদেশের এ সৌন্দর্য অবলীলায় আকৃষ্ট করবে ভ্রমনপিপাসুদের।

ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া
অধ্যাপক,
ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।