আতিকা রহমান
আমি হেফাজতে ইসলামকে কখনোই পছন্দ করিনা, এবং তাদের কর্মকাণ্ড বা তাদের নেতাকর্মীদেরও অপছন্দ করি। এবং সেই কারণে হেফাজত নেতা মামুনুলের অতীত বর্তমানের বক্তব্য তার কার্যকলাপও পছন্দ করি না। ভালো না খারাপ বা তার সম্প্রতি কর্মকাণ্ড নিয়েও আমার তেমন বলার কিছু নাই।
তবে একটা বিষয় কথা বলতে চাই সেটা হলো, মামুনুলের স্ত্রী বা বান্ধবী যে নারী, ঝর্না যে পরিচয়ই তার থাকুক। সেই ঝর্নার ছেলেকে দিয়ে কার মায়ের ডায়েরির লেখা নিয়ে যে রিপোর্ট হয়েছে তা কখনো ই আমি সমর্থন করি না।
আমি সাংবাদিকতার দিক থেকে বড় কেউ না। আমি ক্ষুদ্র মানুষ। তারপরও আমি মনে করি তার ছেলেকে তার মায়ের অবৈধ সম্পর্ক আছে কারও সাথে, সেই শারিরীক সম্পের্কর অশ্লীল সব কথা বলা, শব্দ চয়ন, তারর মুখ দিয়ে বলানো বা ব্যাখা করানো মোটেও উচিত কাজ না।
কিশোর একটা ছেলে যদি এ বিষয়ে ক্ষুব্ধও হয়, সে যদি কিছু বলেও তা সাংবাদিকতার নীতি নৈতিকতা থেকে তা প্রচার করা উচিত না। একজন মায়ের চরিত্র সম্পর্কে খারাপ ভাবে বর্ণনা বা বিচার চাওয়ার ভাষায় সেই অশালীন ও অবৈধ একটি সম্পর্কের বিষয় উচ্চারণ কখনোই শোভন নয়।
আমি ৩ বার ইউনিসেফ এর মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি। শিশু কিশোরদের অধিকার নিয়ে রিপোর্ট করার জন্য। আমি ইউনিসেফ ও সেভ দ্যা চিলড্রেন এর মাধ্যমে নানা ধরনের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের প্রশিক্ষণ নিয়েছি।
শিশু অধিকার বা তাদের বক্তব্য কিভাবে গণমাধ্যমে প্রচার হওয়া উচিত সে বিষয়ে অনেকটা ধারণা আমার আছে। আমি শিখেছি। এছাড়া আমি একজন শিশু সংগঠক। খেলাঘর সেন্ট্রাল কমিটির মেম্বার।
তাই শিশু কিশোরদের দিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি এবং আমি মনে করি বিষয়টি নীতিসংগত নয়। এবং এটি আমাদের দেশের বাবা-মা বা যেকোন সন্তানের জন্য বিব্রতকর।
খুব অকথ্য এসব ফিলিংস!
এবং আমাদের দেশে যে সামাজিকভাবে পারিবারিক মূল্যবোধের চর্চা সেই জায়গার সাথে কোনোভাবেই এভাবে কোন সন্তানকে দিয়ে তার মায়ের ব্যাপারে এভাবে কথা বলা, বা এই ধরনের কাজ মোটেও উচিত না।
রিপোর্ট করতে হলে সেটা সাংবাদিকরা করুক। তারা ঝর্নার বক্তব্যকে উপস্থাপন বরুক। কেন তার নিজের সন্তানকে দিয়ে এমন রুচিহীন উপস্থাপন করতে হবে??
আতিকা রহমান, সাংবাদিক
রুচি-বিকৃতি কোন পর্যায়ে নামলে মায়ের ডায়রি ছেলেকে দিয়ে সত্যতা নিশ্চিত করানো হয়
গোলাম মোর্তোজা
‘আল জাজিরার প্রতিবেদন কিছু হয় নাই’-প্রবক্তারা টেলিফোন ফাঁস এবং ডায়রি সাংবাদিকতা করছেন।রুচি-বিকৃতি কোন পর্যায়ে নামলে মায়ের একান্ত ব্যক্তিগত ডায়রি ছেলেকে দিয়ে সত্যতা নিশ্চিত করানো হয়,তা প্রচার করা হয়!
এই গণমাধ্যম মানুষ পড়বে, দেখবে-আমারা তা প্রত্যাশা করি? সামাজিক মাধ্যম তো সম্পাদনাহীন প্লাটফর্ম। তার উপর আস্থা রাখা যায় না।
কিন্তু বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে গণমাধ্যমের চেয়ে সামাজিক মাধ্যমের উপর মানুষের আস্থা বেড়ে যাচ্ছে কেন? কেন মানুষ দেশের গণমাধ্যম থেকে মুখ ফিরিয়ে নিল? উত্তর অজানা নয়।মোসাহেবী, টেলিফোন ফাঁস আর ডায়রি সংবাদিকতা দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখা যায় না।
গোলাম মোর্তোজা, সিনিয়র সাংবাদিক।
নিউজ২৪