শুদ্ধ বাঙালির শেষ ভরসা শেখ হাসিনা


Jagonews24.com | Published: 2017-10-06 17:07:58 BdST | Updated: 2024-05-10 18:09:30 BdST

শত প্রতিকূল পরিবেশ অতিক্রম করে বাবার কষ্টে তিলে তিলে গড়া বিধ্বস্ত দলের দায়িত্ব নিয়ে দেশের মাটিতে পা রেখেই শোকাহত জাতিকে শোনালেন ‘আমি আওয়ামী লীগের নেতা হতে আসিনি। বাংলার মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য এসেছি। আপনাদের বোন হিসেবে, মেয়ে হিসেবে, আমি বঞ্চিত মানুষের পাশে থাকতে এসেছি। বাবা, মা, ভাই সব হারিয়েছি। আপনারাই আমার পরম আত্মীয়। স্বামী-সংসার, ছেলে-মেয়ে রেখে তাই আপনাদের কাছে এসেছি। আপনাদের ভালোবাসা নিয়ে মুক্তির সংগ্রামে নামতে চাই। মৃত্যুকে ভয় পাই না। বাংলার মানুষের মুক্তির জন্য আমার বাবা আজীবন সংগ্রাম করেছেন। বাংলার মানুষের জন্যই জীবন দিয়েছেন। 'আমিও প্রয়োজনে বাবার মতো আপনাদের জন্য জীবন দিব।'

দিশেহারা বাঙালি জাতির মাঝে যেন সঞ্চারিত হলো নতুন প্রাণের। তারা জেগে উঠলো নতুন আশায়, নতুন স্বপ্ন ও উদ্যমে। দৃপ্ত স্বপ্ন, আপসহীন প্রতিশ্রুতি আর অসহায় মানুষ গুলো কে নিয়ে জাতির পিতার দেখা অসমাপ্ত স্বপ্নের লক্ষ্য পানে এগিয়ে যাওয়া শুরু করলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।

কি গুণ নেই তাঁর! যিনি রাঁধতে জানেন, তিনি চুলও বাঁধতে পারেন। যাকে নিয়ে এই চর্চা তাঁর নাম জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি একজন মমতাময়ী মা। একজন চমৎকার নানী। অসাধারণ দাদী। অবাক হওয়ার কিছু নেই, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় নিয়মিতই রান্না করেন। নাতিপুতিরা খাবেন বলে নিজ হাতে মাছ কেটে, পরিষ্কার করে পরম মমতায় রান্না করে পরিবেশন করে খাওয়ান। অসাধারণ আলু ভর্তা, পরোটা, আচার তৈরি করেন। অসাধারণ ভাপা ইলিশও রান্না করেন তিনি। সুযোগ পেলেই অতিথিদেরও রান্না করে খাওয়ান।

বঙ্গবন্ধুর কাছে আসা বিভিন্ন সহচর ও নেতাকর্মীদের নিজ হাতে কই মাছ রান্না করে খাওয়ানো পরম মমতাময়ী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবকে যেন আমরা খুঁজে পাই "মাদার অব হিউম্যানিটি" খ্যাত শেখ হাসিনা'র মাঝে। নেতাকর্মীদের মাঝে মাঝে নাকি শাসিয়ে সবজি, মাছ,....রান্নার টিপসও দেন। পরিবার সামলানো, দেশ পরিচালনার মহান গুরু দায়িত্ব এতসব কিছু কি ধর্মচর্চা থেকে এতটুকুও পিছিয়ে রাখতে পেরেছে তাঁকে? খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠেন। তাহাজ্জুদ নামাজ পড়েন। ফজরের নামাজ পড়ে কুরআন তিলাওয়াত করেন প্রতিদিন। কখনো নাকি নামাজ কাজা করেন না। নাস্তার আগেই নাকি সংবাদপত্রগুলো দেখে নেন। এভাবেই চলে দিনের কাজ। এই শেখ হাসিনার কি কোনো তুলনা আছে? থাকতে পারে?

তিনি একজন স্বনামধন্যা লেখকও! একজন শিল্প-সাহিত্য বইপ্রেমী। নিজে পড়েন, লেখেন, অন্যদের পড়তে ও লিখতে উৎসাহ দেন। জাতির পিতার সংগ্রামী রাজনৈতিক জীবনের অনেক জানা অজানা তথ্য সমৃদ্ধ "বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী" বইটি আমরা পেয়েছি একজন মননশীল লেখক শেখ হাসিনা'র জন্যই। যা সারা বিশ্বের রাজনীতিবিদ ও মুক্তিকামী জনতার জন্য অনুপ্রেরণা ও আদর্শ হয়ে থাকবে। একজন ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ হিসেবেও তাঁকে দেখতে পাই আমরা। সময় মতো ছুটে যান খেলার মাঠে। খেলা দেখেন সাধারণ দর্শকদের সাথে নিয়ে। দেশের মানুষকে সাথে নিয়ে। বাংলাদেশ জিতলে আনন্দে আপ্লুত হন। খেলোয়াড়দের পরম মমতার পরশ বুলিয়ে দেন মমতাময়ী মা । একজন সঙ্গীতপ্রেমী হিসেবেও কম যান না। সকল গুণে গুণান্বিত তিনি।

স্বাধীন বাংলাদেশে জিয়া-খালেদা-এরশাদ এর অগণতান্ত্রিক শক্তির পতন ঘটিয়ে শক্তিশালী আওয়ামী লীগ বিনির্মাণ, দীর্ঘ একুশ বছর সংগ্রামের পথ পাড়ি দিয়ে আওয়ামী লীগকে তিনবার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করেছে যে শক্তিটি তা হচ্ছে শেখ হাসিনা। জেনারেল জিয়ার ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করে সকল প্রতিবন্ধকতা, দেশি-আন্তর্জাতিক হুমকি, ধামকি উপেক্ষা করে চ্যালেঞ্জ নিয়ে জনগণের দাবিকে প্রাধান্য দিয়ে পিতার খুনিদের ফাঁসির রায় কার্যকর করেছেন ও বাকিদের বিচার কার্যক্রম অব্যাহত, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির রায় হয়েছে, হচ্ছে। এ ব্যাপারে তিনি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

বিএনপি-জামায়াতসহ দেশি-বিদেশি চক্রের হত্যার অপচেষ্টা, উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি, অপপ্রচার, মিথ্যাচার, নৃশংসতাসহ হাজারও বাধা মোকাবেলা করে জীবন বাজি রেখে জাতির পিতার রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তিনি অব্যাহত রেখেছেন নিজের জীবনকে। অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন দিন-রাত সমানে। তিনি নেতৃত্বে এসে শিখেছেন, কখনো হোঁচট খেয়েছেন, বাধা পেয়েছেন কিন্তু পরাজিত হননি। নানা প্রতিকূলতা, ঘাত-প্রতিঘাত, শত বাধা পেরিয়ে হয়েছেন জনগণের নেতা। হয়েছেন ষোল কোটি জনতার আস্থার ঠিকানা।

উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দিন বদলের অঙ্গীকার নিয়ে যে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছেন তাতে বাংলাদেশ বিশ্বের মানচিত্রে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। অথচ একসময় বিশ্ব বাংলাদেশকে চিনতো এক নম্বর দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে। তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে যুগান্তকারী বিপ্লব সাধিত হয়েছে। আমরা আজ বাস করছি 3G (আসন্ন 4G) আর "বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট"এর বাংলাদেশে।

২০০১ সালেই পদ্মা সেতুর শুভ সূচনা করেছিলেন শেখ হাসিনা। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এসে তা বন্ধ করে দেয়। তাই আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে পদ্মা সেতু নির্মাণে জোর প্রতিশ্রুতি দেয়। সরকার গঠন করেই ২০১১ সালে ঋণদাতা সংস্থাগুলির সঙ্গে চুক্তি করে। নিজ ইচ্ছায় বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু প্রকল্পে ১২০ কোটি ডলার ঋণ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করে। একই বছরের শেষ দিকে কথিত দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন স্থগিত রাখে। পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগ সরকার সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে। ২০১২ সালে ঋণচুক্তিটি বাতিল করে দেয় বিশ্বব্যাংক।তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ঠভাবে ঘোষণা দেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু হবে।

পদ্মা সেতু করার জন্য দেশে আমাদের ১৬ কোটি মানুষ আছে, ৮০ লাখ প্রবাসী আছে। বাংলার মানুষ সারা জীবন কি অন্যের সাহায্যে চলবে? নিজের পায়ে দাঁড়াবে না? আত্মনির্ভরশীল হবে না? পদ্মা সেতু আমরা করবই। প্রধানমন্ত্রীর এই আহ্বানে সাড়া পরে যায়। মালয়েশিয়া, চীনসহ কয়েকটি দেশ সহযোগিতা করতে চাইলেও প্রধানমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু হবে। বানানো হয়েছে দুর্নীতির সাজানো গল্প। বের হতে থাকে জজ মিয়ার মতো সাজানো নাটকের গল্প। উঠে আসে ষড়যন্ত্রের নানান তথ্য। উন্মুক্ত হতে থাকে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ। ষড়যন্ত্র করেছে দেশের মধ্যে থেকে ও দেশের বাইরে থেকে। তারা চেয়েছে এই সেতুটা যেন না হয়। শেখ হাসিনা যেন সফল না হন। নানাভাবে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে ষড়যন্ত্রকারীরা। ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে বিশ্বব্যাংক, সুদের আসরের বুজুরগো অধ্যাপক ইউনুস, প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, বিএনপি-জামাত, হিলারি, সুবিধাবাদী সুশীল সমাজ ও বিভিন্ন সংস্থাসহ দেশী বিদেশী চক্র। মিথ্যাচার করেছে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। দেশের সুবিধাবাদী চামার সুশীল মহল ও কিছু গণমাধ্যম, দেশে বিদেশী-চর দিনের পর দিন মানুষের মাঝে প্রচার করেছে সরকার পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি করেছে।

বসে থাকেনি খালেদা জিয়া, সিরিজ আকারে মিথ্যাচার অপপ্রচার চালিয়েছে দিনে পর দিন। ধারাভাষ্যকারের মতো বলেই চলেছেন আমরা দুইটা ,তিনটা ….পদ্মা সেতু করব। লেলিয়ে দিয়েছে ৭১-এর পরাজিত শক্তি বিএনপি, জামাত-শিবিরকে। বাধাগ্রস্থ করেছে আত্মঘাতীমূলক জ্বালাও-পোড়াও কর্মকাণ্ড করে। গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থেকেছে আমেরিকা। যারা ৭১,৭৫ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। তারা এখনও গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাদের মূল লক্ষ্য ছিল, আছে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সড়ানো। তখনও জাতির পিতা তাদের বৃদ্ধাঙ্গুুলি দেখিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। তারই কন্যা শেখ হাসিনা। কিভাবে সম্ভব পিতার শত্রু, দেশের শত্রুদের কাছে মাথা নত করবে? মাথা নত করেন নি। নিরাশ হয়েছেন অনেকে। হাল ছাড়েননি একজন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা পরাজিত হবার নন। শেখ হাসিনা মাথা নোয়ানোর নন। দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্র, মিথ্যাচার, হত্যার হুমকিসহ সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে, মাথা উঁচু করে দেশের স্বার্থকে সামনে তুলে এগিয়ে নিয়েছেন।

বিশ্বব্যাংক সহ দেশী বিদেশী চক্রের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে শেখ হাসিনা অসীম সাহসী ও দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিয়ে ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর পদ্মা সেতুর মূল কাঠামোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এদিকে কানাডার আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, পদ্মা সেতু প্রকল্পে কোন রকম দুর্নীতি প্রমাণ পাওয়া যায়নি। রায়ের প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, সততার শক্তি ছিল বলেই বিশ্বব্যাংকের ওই অভিযোগকে তিনি চ্যালেঞ্জ জানাতে পেরেছিলেন। তিনি আরো মন্তব্য করেন এই রায়ে বিশ্ব অঙ্গনে বাংলাদেশের মানুষের মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে। তারপরও ষড়যন্ত্র থেমে থেকেনি। গুজব ছড়ানো হয়েছে পদ্মা সেতু আওয়ামী লীগ করতে পারবে না। হা-হুতাশের জল্পনা কল্পনাকে উড়িয়ে দিয়ে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে শেখ হাসিনা।

পদ্মা সেতু আজ স্বপ্ন নয় দৃশ্যমান। ৩০/০৯/১৭ তারিখে এক নতুন ইতিহাস রচনা করল বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে। দুটো পিলারের মাঝের স্প্যানটি যেন মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে পৃথিবী কে জানিয়ে দিল আমরা বাাঙালি। আমরা সেই বাঙালি যাদের পিতা শেখ মুজিবুর রহমান, আমরা সেই বাঙালি যাদের নেতা শেখ হাসিনা। আমরা ন্যায্য প্রতিবাদ করতে জানি। সকল ষড়যন্ত্র ভেদ করে আমরা সফল হতে জানি। স্প্যানগুলো যেন বিশ্ব মোড়লদের বলছে তোমরা যতই ষড়যন্ত্র কর কোন লাভ হবে না। কারণ আমার অভিভাবক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। ও যেন বারবার প্রতিবাদ করে, অহংকার করে বলছে আমি শুধু পদ্মা সেতু নই, আমি শেখ হাসিনার নিষ্ঠা, সততার প্রতীক। ও আরো বলছে শেখ হাসিনা আমার নেতা। ক্লান্তহীনভাবে ছুটে চলা এক কর্মময় মানুষ শেখ হাসিনা সারা বিশ্বকে দেখিয়ে দিলেন বাঙালিরা চাইলে সবই অর্জন করতে পারে। বিশ্ব মোড়লদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে শেখ হাসিনা বুঝিয়ে দিলেন,পাহাড়সম দৃঢ়তা, আকাশচুম্বি দেশপ্রেম আর সৎ কর্মস্পৃহা থাকলে অনেক অসম্ভব কেও সম্ভব করা যায়।

বিশ্ব ব্যাংকের এমন মিথ্যাচারে দেশের মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছিল অস্থিরতা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সম্পর্কে জনমনে অবিশ্বাস। বিশ্বে বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনার সরকার সম্পর্কে সুনাম নষ্ট হয়েছে। এর ফলে পদ্মা সেতুর কাজ পিছিয়েছে, সেতু নির্মাণে খরচ বেড়েছে। বিশ্বব্যাংকসহ সকল ষড়যন্ত্রকারীদের উচিৎ শেখ হাসিনার কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া। শেখ হাসিনার জীবনে অসম্ভব বলে কোনও কাজ নেই। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, কর্ণফুলি টানেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, বছরের ১ম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে বই, ছিটমহলে স্বাধীনতা, সমুদ্র বিজয়..........। কেউ বলছে প্রাচ্যের তারকা, কেউ বলছে মানবতার মা………।

অসুস্থ থাকার পরও পদ্মা সেতু দৃশ্যমান হয়ে ওঠার খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, "এর মধ্যে দিয়ে প্রমাণ হয়েছে, বাংলাদেশ পারে। প্রমাণ হয়েছে, আমরাও পারি। এটা ছিল একটা বড় চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশের জন্য একটা বড় সিদ্ধান্ত, কারণ এর সঙ্গে দেশের ভাবমূর্তি জড়িত ছিল। এত বড় আর খরস্রোতা একটা নদীর ওপর এত বড় একটা সেতু নির্মাণ করে আমরা বিশ্বের সামনে একটা উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলাম। আমরা রাজনীতি করি মানুষের জন্য। আমরা কাজ করি মানুষের জন্য। আর আমরা যে তা পারি, তা করে দেখিয়েছি।”

শেখ হাসিনাই বাংলাদেশের মানুষের একমাত্র আশা, ভরসা ও বিশ্বাসের কেন্দ্র। পদ্মা সেতু নিজেদের অর্থে তৈরি করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেখিয়ে দিলেন শুদ্ধ বাঙালির সক্ষমতা। বুঝিয়ে দিলেন এ জাতি দমে যাবার নয়, থেমে যাবার নয়। তাঁকে ঘিরেই স্বপ্ন দেখি বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলার। শেখ হাসিনা বাঙালির বাতিঘর। শেখ হাসিনা স্বপ্ন দেখেন, স্বপ্ন দেখান, স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেন। সবাই ঘুমিয়ে পড়লেও জেগে থেকে পাহারা দিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশকে।

লেখক : সহকারী অধ্যাপক, গণিত বিভাগ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।
সদস্য সচিব, বঙ্গবন্ধু পরিষদ। পরিচালক, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস চর্চা কেন্দ্র।

 

এমএসএল