আওয়ামী লীগের কমিটিতে থাকা নিয়ে ৪ উপাচার্যের বক্তব্য


টাইমস অনলাইনঃ | Published: 2017-10-11 06:26:23 BdST | Updated: 2024-05-10 19:38:23 BdST

বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যদের আওয়ামী লীগের উপকমিটিতে রাখা নিয়ে উপাচার্যরা কী বলছেন? একজন বলেছেন, ভালো মানুষ এবং শিক্ষিত মানুষের হাতে রাজনীতি না থাকার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হলো কম শিক্ষিত মানুষের শাসনের শিকার হওয়া। অন্য একজনের মতে, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের রাজনৈতিক মতাদর্শ অবশ্যই থাকতে পারে; কিন্তু সেটাকে কারো উপর প্রভাব বিস্তার করতে দেওয়া যাবে না। আওয়ামী লীগের কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সদস্য হওয়ার ব্যাপারে এমনই মতামত দেন দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ভিসি।

চার বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য এবং ১১ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককে নিয়ে শিক্ষা ও মানবসম্পদ কমিটি করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। তারই একটি খসড়া তালিকা প্রকাশিত হয়েছে মঙ্গলবার। তালিকায় রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান।

মন্তব্য জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামান বলেন, এটি তো একটা খসড়া। তবে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ নিয়েই এত বেশি ব্যস্ত যে সেখানে সময় দেওয়া নিজের জন্যই কষ্টকর হয়ে যাবে।

‘একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদটাই সম্মানজনক পদ। এই পদে থেকে অন্য কমিটির সঙ্গে সময় দিলে নিজের প্রতিষ্ঠানের উপর সুবিচার করা হয় না,’ বলে মনে করেন তিনি।

ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন: কারণ তখন কাজের সময়টা ভাগ হয়ে যায়। আর নৈতিক দর্শন তো আছে। সময় ভাগ করে দিলে ভালো কাজের সুযোগ আরো কমে যায়।

তিনি বলেন: একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি’র জনৈতিক দর্শন থাকবে, দৃষ্টিভঙ্গি থাকবে; কিন্তু সেই রাজনৈতিক প্রভাব অন্য কারো উপর ফেলা যাবে না। আমার পছন্দ অপছন্দ কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মিলতেই পারে, কিন্তু আমার বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় বা ক্লাসরুম কর্মকাণ্ডে আমার দর্শনের প্রভাব ফেলা যাবে না কারণ এখানে অন্য দর্শনের মানুষও থাকতে পারে।

‘বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি থাকবে সেটা ঠিক, এখানে রাজনীতিমনা মানুষ থাকবে কিন্তু সেটার প্রভাব অন্য কিছুর উপর ফেলা যাবে না। তবে মানুষের কিছু বিষয় থাকে যেগুলোতে পছন্দ-অপছন্দের ক্ষেত্রে আমাদের কোনো কম্প্রোমাইজ নেই, সেটাতে কেউ আহত হলেও কিছু করার নেই।’


জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মিজানুর রহমান অবশ্য মনে করেন, এ ধরনের পদগুলোতে শিক্ষিত মানুষদেরই আসা দরকার।

কারণ হিসেবে তিনি মনে করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যেখানে ভালো কাজের সুযোগ আছে সেটাকে কাজে লাগানো অবশ্যই ইতিবাচক। ভালো মানুষ এবং শিক্ষিত মানুষের রাজনীতি থেকে দূরে থাকার তাৎক্ষণিক শাস্তি হলো তার থেকে নিম্নমানের লোকের দ্বারা শাসিত হওয়া।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হারুন অর রশিদ এ বিষয়ে চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, কমিটিতে এই অবস্থান মানে হলো আরো বেশি কাজ করার সুযোগ। মর্যাদার জন্য এই কমিটির সদস্য হইনি। এটাকে আরো কিছু কাজের সুযোগ হিসেবেই দেখছি আমি।

সংবাদটি চ্যানেল আই অনলাইন

এমএসএল