অধ্যাপক আবু সাঈদ অধ্যাপক নন, ঢাবি শিক্ষকের মামলা


ঢাবি প্রতিনিধ | Published: 2018-12-13 11:15:28 BdST | Updated: 2024-07-08 01:56:24 BdST

নামের আগে ‘অধ্যাপক’ শব্দ জুড়ে দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীতগণফোরামের প্রার্থী আবু সাইয়িদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক সহকারী অধ্যাপক।

মামলাটি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. এস এম নাসিফ শামস্। তিনি সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকুর ছেলে।

আজ সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে নাসিফ শামস্ এ মামলা দায়ের করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে শেরেবাংলা নগর থানাকে মামলার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ১০ জানুয়ারীর মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে পাবনা-১ আসনে শামসুল হক টুকু আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন এবং সেখানে আবু সাইয়িদ তার প্রতিদ্বন্দ্বী।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি আবু সাইয়িদ কোনো কলেজে কখনো অধ্যাপনা করেছেন বলে সমাজের মানুষ বা তার জানা নেই। তবে খণ্ডকালীন প্রভাষক হিসেবে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই থেকে তিন মাস কর্মরত ছিলেন বলে জনশ্রুতি আছে।

মামলায় আরও বলা হয়, নিয়মিতভাবে ১৫ বছর অধ্যাপনা না করলে কেউই নামের আগে অধ্যাপক ব্যবহার করতে পারেন না। আসামি বর্তমানে গণফোরাম দল থেকে ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে ধানের শীষ প্রতীকে এমপি পদপ্রার্থী হয়েছেন। আসামি বিভিন্ন বই লিখেছেন। কিন্তু কোনো বইয়ের শিরোনামে তিনি কোনকলেজে অধ্যাপনা করেছেন এমন কোনো টাইটেল লেখকের পরিচয় হিসেবে বইয়ে লিখেন না। কিন্তু নামের সঙ্গে তিনি অধ্যাপক ব্যবহার করছেন। তিনি অধ্যাপক না হয়েও বিভিন্ন জায়গায়, বই পুস্তকে এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের হলফনামায় অধ্যাপক পদবি ব্যবহার করেছেন। সমাজের সম্মানসূচক শিক্ষকতা পেশা প্রতারণার মাধ্যমে নামের সঙ্গে জুড়ে দিয়ে তিনি ভোট পাওয়ার চেষ্টা করে সাধারণ জনগণকে বিভ্রান্ত করে চলছেন।

আবু সাইয়িদ ১৯৭০ সালের প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে বিজয়ী হন। পরবর্তীতে রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে তিনি বাকশালের কেন্দ্রীয় নেতা হন। ১৯৮৬ সালে বিএনপির সঙ্গে থেকে নির্বাচন বর্জন করেন। ১৯৯১ সালে বাকশাল থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন এবং সংসদ সদস্য নির্বাচন করে পরাজিত হন। ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচন করে সাংসদ নির্বাচিত হয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে পরাজিত হন। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচন করে পরাজিত হন।