সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহারের দাবিতে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের চলমান আন্দোলনে কর্মকর্তাদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে। এতে দুইপক্ষের ১০ জন কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকাল সাড়ে এগারো টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে ডিরেক্ট অফিসার্স এসোসিয়েশন ব্যানার নিয়ে দাঁড়ালে অফিসার্স এসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা তাদের উপর হামলা করলে এ মারামারির ঘটনা ঘটে। প্রায় আধাঘণ্টা যাবত দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর আগে সকাল নয়টায় ডিরেক্ট অফিসার্স এসোসিয়েশন গ্রাউন্ড ফ্লোরে ব্যানার টানালে তা ছিঁড়ে ফেলেন অফিসার্স এসোসিয়েশনের কতিপয় কর্মকর্তা। এ সময় তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার প্রাথমিকভাবে তা থামিয়ে দেন ৷ পরে নতুন ব্যানার নিয়ে গ্রাউন্ড ফ্লোরে দাঁড়ালে অফিসার্স এসোসিয়েশনের সদস্যরা প্রথমে ব্যানার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় অফিসার্স এসোসিয়েশনের অন্যান্য সদস্যরা চড়াও হলে দু'পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।
মারামারির ঘটনায় দু’পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন ডিরেক্ট অফিসার্স এসোসিয়েশনের সদস্য ও পরিকল্পনা দপ্তরের ডিপুটি ডিরেক্টর আবু হাসান, প্রকৌশল দপ্তরের উপ-প্রধান প্রকৌশলী মুরশীদ আবেদীন, অর্থদফতরের ডিপুটি একাউন্টস অফিসার ইকবাল মিয়া এবং সহকারী রেজিস্টার আনোয়ার সাদাত ও রফিক সেরনিয়াবাত। অন্যদিকে অফিসার্স এসোসিয়েশনের সদস্য ও সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ড.তানজিম হাসান, সহকারী রেজিস্ট্রার তৌসিকুল ইসলাম রাহাত, সেকশন অফিসার মাহমুদুল হাসান, মিজানুর রহমান ও আবু সায়েম।
আহত ইকবাল মিঞা বলেন, আমরা সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে আজকের অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলাম এর এক পর্যায়ে অফিসার্স এসোসিয়েশনের কিছু সদস্য আমাদের ওপরে হামলা করেন। আমাকে মেরে হাত ফাটিয়ে দিয়েছেন জনসংযোগ দফতরের কর্মকর্তা জুয়েল মৃধা। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।
অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ডেপুটি রেজিস্ট্রার বাহাউদ্দীন গোলাপ বলেন, পেনশন স্কিমে পাব্লিক বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্তর্ভুক্ত করায় যৌক্তিক দাবি নিয়ে আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। এই কর্মসূচিকে বিতর্কিত করতেই ডিরেক্ট অফিসার্স এসোসিয়েশনের নামে একটি অনুমোদনহীন সংগঠন হঠাৎ আজকে ব্যানার নিয়ে আলাদাভাবে অবস্থান নিয়ায়। এতেই আজকের এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
বরিশাল বন্দর থানার ওসি এ আর মুকুল বলেন, ঘটনাস্থলে এসে আমরা পরিস্থিতি শান্ত করেছি৷ এটা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিষয়, তারা এর সুষ্ঠু সমাধান করবে৷
সার্বিক বিষয়ে রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম বলেন, যে বা যারা দায়ী হবে। তাদের বিরূদ্ধে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে থাকবে। তদন্ত অনুযায়ী এর সঠিক বিচার হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট হউক এটা আমরা কখনো হতে দিবো না।