ইবির খালেদা জিয়া হলের শিক্ষার্থীরা কপোতাক্ষে স্থানান্তরিত


kustia | Published: 2024-09-09 20:00:30 BdST | Updated: 2024-09-18 19:34:55 BdST

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) খালেদা জিয়া হল থেকে ছাত্রীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ডরমিটরির ‘কপোতাক্ষ’ ভবনে স্থানান্তর করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান কর্তৃপক্ষ। নিয়মিত শর্টসার্কিট, হঠাৎ আগুনের স্ফুলিঙ্গ এবং রাতে হঠাৎ বিদুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে এ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে খালেদা জিয়া হলের পুরাতন ব্লক থেকে জিনিসপত্র নিয়ে শিক্ষার্থীদের কপোতাক্ষ ভবনে স্থানান্তর হতে দেখা যায়। এদিন হলে উপস্থিত ৯৬ জন শিক্ষার্থীদের স্থানান্তর করা হয়েছে বলে জানা যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, দীর্ঘদিন ব্যবহৃত না হওয়া কপোতাক্ষ ভবনে ছাত্রীদের স্থানান্তর উদ্দেশ্য চারপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার পাশাপাশি নতুন করে বিদ্যুৎ সংযোগ ও পানির লাইন সচল এবং অভ্যন্তরীণ ওয়াশরুম এস্টেট অফিসের তত্ত্বাবধায়নে পরিষ্কার করা হয়।

স্থানান্তরিত হওয়া ছাত্রীরা বলেন, আমাদের হলের বৈদ্যুতিক সমস্যা নতুন কিছু নয়। গত কয়েকদিনেও কয়েকবার শর্টসার্কিটের ঘটনা ঘটে। এর আগে কয়েকবার সংস্কার করা হলেও স্থায়ী সমাধান দেয়া হয়নি৷ গত তিনদিন আমরা পানি ও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় হলে অবস্থান করেছি। আজকে প্রশাসন থেকে আমাদেরকে কপোতাক্ষ ভবনে শিফট করে।

আমরা চাই হলের বৈদ্যুতিক সমস্যার অবসান ঘটিয়ে দ্রুত এর সংস্কার করে আবার আমাদের হলে ফিরিয়ে নেয়া হোক। এখানে আমাদের সাময়িক যে কক্ষগুলোতে থাকতে দিচ্ছে তা তুলনামূলক ছোট এবং আমাদের কষ্ট করে থাকতে হবে।

এ বিষয়ে ইবির সহ-সমন্বয়ক রকিবুল ইসলাম বলেন, আজকে এখানে আমরা ৯৬ জন ছাত্রীকে স্থানান্তর করছি আমরা। এখানে আজকে হলে যে কয়জন ছাত্রী সশরীরে উপস্থিত ছিলো কেবল তাদেরকেই এখানে আনা হয়েছে। এর আগে ভবনটি অব্যবহৃত থাকায় এস্টেট অফিসের সহায়তায় পরিষ্কার করে পানি এ বিদ্যুৎ এর লাইন ঠিকঠাক করা হয়েছে। এখন ছাত্রীদের এখানে থাকার মতো একটা পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

ইবি সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান বলেন, বাকী ছাত্রীদের জন্য কর্ণফুলীতে ব্যবস্থা করা হচ্ছে এবং কপোতাক্ষ স্থানান্তরিত শিক্ষার্থীদের লিস্ট করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) কে.এম শরীফ উদ্দীন বলেন, খালেদা জিয়া হলের যে বৈদ্যুতিক সমস্যা রয়েছে তা নতুন প্রশাসন আসার আগে কিছু করা সম্ভব নয়। প্রশাসন আসলে অনুমোদন হয়ে টেন্ডার আসবে তারপর আমরা কাজে হাত দিতে পারবো। আমরা প্রাথমিকভাবে যে খসড়া করেছি তাতে আনুমানিক ৪৮ লক্ষ টাকার মতো প্রয়োজন হবে।ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।