ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রস্তুতি__খ ইউনিট


ঢাবি টাইমস | Published: 2018-07-17 04:36:47 BdST | Updated: 2024-07-01 08:24:09 BdST

স্বপ্নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হবে—হয়তো এ মুহূর্তে তাই রাত-দিন ভুলে গিয়ে বইয়ের মধ্যে ডুবে আছো তোমরা, স্বপ্নের হাতছানিতে সাড়া দিতে হবে যে!গত বছর ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেছিলেন যথাক্রমে অর্পিতা হক, এ বি এম এহসান উল্লাহ ও তাসনিন বিনতে সাহাজ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য কীভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তাঁরা, কেমন ছিল তাঁদের অভিজ্ঞতা? সেসবই তাঁরা তুলে ধরছেন এবারের ভর্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে।‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা হয় বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞানের ওপর। আমি বাংলার জন্য মূল পাঠ্যবই আর নবম-দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ পড়েছিলাম।’ বলছিলেন অর্পিতা। তাঁর কথা আবারও শুনব। তার আগে জেনে নিই অর্পিতার এক টুকরো জীবন। বাগেরহাট সদরে জন্ম। এসএসসির পাট চুকিয়েছেন বাগেরহাট সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে। জিপিএ-৪.৮৮ পান বাংলা ছাড়া। এইচএসসিতে এসে অবশ্য ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। বাগেরহাট সরকারি মহিলা কলেজ থেকে পরীক্ষা দিয়ে সব বিষয়ে এ+সহ জিপিএ-৫ পেয়েছেন। এখন পড়ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্য বিভাগে।অর্পিতা আবার বলতে শুরু করেন তাঁর ভর্তি প্রস্তুতির কথা। ‘ইংরেজির জন্য গ্রামারের ওপর বেশি জোর দিয়েছিলাম। পাশাপাশি পড়েছি মূল পাঠ্যবই। আর সাধারণ জ্ঞানের জন্য প্রতিদিন টেলিভিশনের সংবাদ দেখতাম আর গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ ডায়েরিতে টুকে রাখতাম।’ অনেকটা অর্পিতার মতোই জীবনকাহিনি এহসানের।

অর্পিতা এসএসসিতে পাননি জিপিএ-৫ আর এহসান পাননি এইচএসসিতে। এইচএসসিতে তাঁর জিপিএ ছিল ৪.৮০। সিরাজগঞ্জে বেড়ে ওঠা এই মেধাবী মাধ্যমিকের পাট চুকিয়েছেন সিরাজগঞ্জের জ্ঞানদায়িনী উচ্চবিদ্যালয় থেকে। উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেছেন ঢাকার নটর ডেম কলেজ থেকে। এখন পড়ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে। কেমন ছিল এই মেধাবীর ভর্তি প্রস্তুতি? ‘বাংলার জন্য আমিও পাঠ্যবই ও নবম-দশম শ্রেণীর ব্যাকরণ বই পড়েছি। এর পাশাপাশি অবশ্য সৌমিত্র শেখরের বইটাও পড়েছি।’ বলছিলেন এহসান। তিনি ইংরেজির জন্য পাঠ্যবই, গ্রামার ও টোয়েফল পড়েছেন। আর সাধারণ জ্ঞানের জন্য পড়েছেন নবম-দশম শ্রেণীর ইতিহাস বই ও বাজারে প্রচলিত সাধারণ জ্ঞানের বই।

তৃতীয় স্থান অধিকারী তাসনিন বিনতে সাহাজের জন্ম ঢাকার সাভারে। তিনি এসএসসি ও এইচএসসি দুটোরই সনদ নিয়েছেন সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে। এসএসসিতে চতুর্থ বিষয় ছাড়া পেয়েছেন জিপিএ-৪.৭৫ আর এইচএসসিতে চতুর্থ বিষয় ছাড়া জিপিএ-৪.৮৮। এখন তাঁর ঠিকানা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ। বলছিলেন, ‘উচ্চমাধ্যমিক বাংলা পাঠ্যবইয়ের গদ্য-পদ্য খুব গুরুত্ব দিয়ে পড়েছিলাম। কারণ, এখান থেকেই সাধারণত সাহিত্যের প্রশ্ন করা হয়। আর ব্যাকরণ অংশের জন্য নবম-দশম শ্রেণীর ব্যাকরণ বই। ইংরেজির জন্য গ্রামার বই ও পাঠ্যবই। আর সাধারণ জ্ঞানের জন্য সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বিষয় টুকে রাখতাম নোট খাতায়। নিয়মিত বিবিসি বাংলার খবর শুনতাম।’

শোনা হলো তিন মেধাবীর ভর্তি প্রস্তুতির অভিজ্ঞতা। এবার এই অভিজ্ঞতার আলোকে তৈরি করো নিজেকে। কেননা, আসছে বছর তোমারই তো পালা অভিজ্ঞতার গল্প শোনানোর।

লেখাটি প্রথম আলো থেকে নেয়া

বিদিবিঈস