ইউটিউবে ঘাটতে ঘাটতে তিনটা নাটক দেখা হলো। জমজ ১১, সেই রকম কাচ্চিখোর আর ব্যাচেলর ট্রিপ।
ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির দুরবস্থা বুঝার জন্য একটা নাটক দেখাই যথেষ্ট। আগে ভাবতাম কেনো মানুষ বাইরের সিরিয়াল কিংবা মুভির প্রতি আসক্ত হয়। এসব নাটক ফাটক দেখে সে ভুল ভেঙে গেলো।
জমজ ও কাচ্চিখোর দেখে মনে হলো একটা সিরিজ চুইংগামের মত টানতে থাকলে এক সময়ে সেটা তেতো হয়েই যাবে। শুধু আঞ্চলিক ভাষার উপর নির্ভর করে কোন নাটক চলে না। নাটকে থাকতে হয় গল্প।
এই দুটো নাটক দেখে ভাবলাম পরিচালকের মাথায় আদৌ গল্প নেই। তিনি কেবল মোশাররফ করিমকে পুঁজি করে নিজেকে জনপ্রিয় করতে চাইছেন।
ব্যাচেলর ট্রিপ দেখে এক ঘণ্টার একটি বিজ্ঞাপন ছাড়া আর কিছুই মনে হয়নি। সাধারণ মানুষ যেহেতু বিজ্ঞাপন দেখলেই রিমোট হাতে নেয় তাই নাটকের মোড়কে বিজ্ঞাপন গিলানোর অপচেষ্টা।
আলটিমেটলি মানুষও নাটক বিমুখ হয়ে যাচ্ছে। ফলে কাস্টমারদের রিচ করার জন্য তাদের যে কোন উপায় থাকবে না সেটা হয়তো তারাও বুঝছে না।
এ যুগে অভিনয় করে অভিনেতা হওয়ার সুযোগ নেই। আপনার চেহারায় গ্ল্যামার আছে, কোন বড় ভাই আছে, ব্যস আপনাকে নাটকে নিয়ে নিবে।
কিন্তু এতে করে সেরা অভিনেতাদের আমরা হারিয়ে ফেলছি এবং ইয়ো ইয়ো ছেলে মেয়েদের নাটক মুভিতে এনে নাটক ইন্ডাস্ট্রিই ধ্বসিয়ে দিয়েছি।
ফারুক যখন হুমায়ুন আহমেদের পরিচালিত নাটকে অভিনয় করতো তখন তার অভিনয় ছিলো দেখার মতো। আর এখন ভুঁইফোড় পরিচালকদের হাতে পড়ে তার অভিনয়ই মৃত।
মোশাররফ করিম, জাহিদ হাসান, নাদিয়াদের মত জাত অভিনেতাদের আমাদের পরিচালকগণ কাজে লাগাতে পারে না।
কারন এখন তারা গল্প তৈরি করতে চান না, টার্গেট থাকে নাটকের মোড়কে কর্পোরেট দুনিয়ার বিজ্ঞাপন তৈরিতে।
আর মানুষ কখনো বিজ্ঞাপন পছন্দ করে না।
লেখকঃ তানসেন রোজ, এমবিএ শিক্ষা, ঢাবি