তিন বছরেও পূর্ণাঙ্গ হয়নি ঢাকা আলিয়া ছাত্রলীগের কমিটি!


ঢাকা | Published: 2019-03-25 01:14:18 BdST | Updated: 2024-04-19 07:51:14 BdST

বর্তমান কমিটির বয়স তিন বছর হয়ে গেলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করতে পারেনি ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। এ নিয়ে ছাত্রলীগ কর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। মেয়াদ উত্তীর্ণ এই কমিটির অত্যাচার এবং সিট বাণিজ্যের কাছে হল ছাড়তে হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের।

২০১৬ সালের মার্চ মাসে শাহাদাত হোসেন নিলয়কে সভাপতি ও সুলায়মান আহমেদকে সাধারণ সম্পাদক করে ৮ সদস্যের কমিটির অনুমোদন দেয় ঢাকা মহানগর দক্ষিন ছাত্রলীগ। এরপর বিভিন্ন পদ খালি থাকলেও সেগুলো পুরণ করার উদ্যোগ নেয়া হয়নি বলে জানান ছাত্রলীগ কর্মীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ছাত্রলীগ কর্মী বলেন, কমিটি আট সদস্যের হলেও মূলত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দখলে হল। অন্য নেতদের তেমন কোনো অবস্থান নেই হলে। গত দুবছর ধরে কর্মিদের থেকে বার বার সিভি নেওয়ার পর ও পূনাঙ্গ কমিটি দেওয়া হয় নি। এ নিয়ে নেতা কর্মিদের মধ্যে ব্যাপক হতাশা তৈরি হয়েছে।

অন্য একজন কর্মী বলেন, বার বার সিভি নেওয়া ও আশ্বাস দেওয়ার পর ও কমিটি পূনাঙ্গ হচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের রাজনীতির কেরিয়ার শেষ হয়ে যাবে। আমরা এর প্রতিকার চাই। আমরা এই মেয়াদ উর্ত্তীন কমিটির বিলুপ্ত চাই এবং নতুন নেতৃত্বে দেখতে চাই।

অন্যদিকে এক সাধারণ ছাত্রের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার ২টি ছাত্র হল রয়েছে। এতে কয়েকশ ছাত্র অবস্থান করত। কিন্তু এই মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটির অত্যাচারে প্রায় অনেক ছাত্র হল ছেড়ে চলে গেছে। এখন হলের অনেক রুমেই সিট খালি রয়েছে।

কিছুদিন আগে হল থেকে চলে যাওয়া এক ছাত্র আমাদের বলে তাদের কে দিয়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাত্রলীগের প্রোগাম ছাড়া ও ভাড়াতে প্রোগাম করিয়ে থাকে। মাসে বেশ কয়টি ভাড়াতে প্রোগাম তাদের দিয়ে করানো হয়। সর্বশেষ বিরক্ত হয়ে সে হল ছেড়ে চলে আসে। তাদের অত্যাচারে হলে এবং ক্যাম্পাসে সকল ছাত্র আসহায়। তারা ভাড়াতে প্রোগাম করিয়ে নিজেরা অনেক অর্থ আয় করলেও সাধারণ কর্মিদের সব কিছু থেকে বঞ্চিত করা হয়। ছাত্রদের তারা কোনো সহায়তা করে না।

একবছর পরপর ছাত্রলীগের নতুন কামিটি দেয়ার নিয়ম থাকলেও তিন বছর পেরিয়ে গেলেও পুরোনো কমিটি দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে মাদ্রাসা-ই-আলিয়া’র ছাত্রলীগ। এতে বঞ্চিত হচ্ছে ছাত্রলীগ কর্মীরা।