খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ১৯তম ব্যাচের তিন দিনব্যাপী শিক্ষা সমাপনী উৎসবের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু অ্যাকাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা।
তিনি বলেন, শিক্ষা সমাপনী মানে সবকিছু শেষ নয়, এখান থেকে নতুন পথের যাত্রা শুরু। এক প্ল্যাটফর্ম থেকে অন্য আরেক প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ।
শিক্ষাজীবন থেকে ভবিষ্যৎ পেশাগত জীবনে প্রবেশের ধাপ। চারটি বছরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ শেষে আজ তোমরা সেই ধাপে এসে দাঁড়িয়েছ।
উপ-উপাচার্য বলেন, শিক্ষকদের জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া শিক্ষার্থীদের সাফল্য। কর্মজীবনে শিক্ষার্থীদের কৃতিত্ব, সাফল্য ও সুনাম দেখে-শুনে শিক্ষকদের মন ভরে ওঠে।
তোমাদেরও ভবিষ্যৎ জীবনে সাফল্যের সাক্ষর রাখতে হবে। নিজেদের মেধা, মনন ও প্রতিভা দিয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে আলোকিত করতে হবে।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাজীবন হচ্ছে জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়। এখান থেকে গত চার বছরে তোমরা যথাযথ শিক্ষালাভের মাধ্যমে নিজেকে সমৃদ্ধ করেছ। তোমাদের জ্ঞানের পরিধি প্রসারিত হয়েছে। প্রতিভাগুলো বিকশিত হয়েছে। এখন তোমাদের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ হলো- দেশ, জাতি ও সমাজকে আলোকিত করার চ্যালেঞ্জ। আমি আশা করি, তোমাদের অর্জিত জ্ঞান দিয়ে সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারবে।
উপ-উপাচার্য বলেন, গত কয়েক বছরে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে গেছে। শিক্ষা-গবেষণার পাশাপাশি অবকাঠামোগত ক্ষেত্রেও ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। আগামীতে আরও ভালো কিছু অপেক্ষা করছে।
বিদায়ী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যয়নকালে তোমাদের মধ্যে যে পারস্পরিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে, সে সম্পর্ক আজীবন বাঁচিয়ে রাখা উচিত। নিজ পরিবারের বাইরে তোমার সহপাঠীরাই তোমাকে মানসিক ও অ্যাকাডেমিক সমর্থন দিয়েছে। নিজেদের মধ্যে অনেক অনুভূতি বিনিময় করতে পেরেছ। পেশাগত জীবনে ব্যস্ততার মধ্যেও যেন এ সম্পর্ক টিকে থাকে সেদিকে নজর রাখা উচিত।
উপ-উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯তম ব্যাচের শিক্ষা কোর্স সম্পন্নকারী শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ জীবনের সাফল্য কামনা করেন। পরে প্রধান অতিথি অনুষ্ঠানে বিদায়ী শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট দেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক প্রফেসর মো. শরীফ হাসান লিমন। আয়োজক কমিটির সভাপতি সাদিয়া তাবাচ্ছুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন জারিফ বিন আবিদ। শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে বক্তব্য দেন ফয়সাল ইকবাল ও সুমাইয়া আক্তার ইফতি। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ফারিয়া তাবাচ্ছুম, শেখ মুহাম্মদ ফাহিম দাইয়ান।
শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন বিকেলেও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া তৃতীয় ও সমাপনী দিন আগামী শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় মুক্তমঞ্চে কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে।