
আসল সিনেমার কিছু ক্লিপের সঙ্গে এআইভিত্তিক কণ্ঠস্বর ও ভিডিও মিশিয়ে ইউটিউবের মুভি বা টিভি সিরিজের ভুয়া ট্রেইলার বানানো হয় । ফলে অনেক দর্শকই বিভ্রান্ত হন। সাম্প্রতিক সময়ে এ ধরনের বিভ্রান্তিকর ট্রেইলারের সংখ্যা ইউটিউবে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এই সমস্যা মোকাবিলায় অবশেষে ব্যবস্থা নিচ্ছে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ।
প্রথম ধাপে ইউটিউব তাদের পার্টনারশিপ প্রোগ্রাম থেকে বাদ দিয়েছে দুটি জনপ্রিয় ভুয়া ট্রেইলার চ্যানেল—স্ক্রিন কালচার (Screen Culture) এবং কেএইচ স্টুডিও (KH Studio)। এর ফলে এই চ্যানেলগুলো এখন থেকে আর বিজ্ঞাপনী আয় পাবে না।
পরে ইউটিউব স্ক্রিন ট্রেইলার্স ও রয়েল ট্রেইলার নামে আরও দুটি চ্যানেলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। এগুলো আসলে আগেই বন্ধ হওয়া চ্যানেল স্ক্রিন কালচার এবং কেএইচ স্টুডিওর বিকল্প অ্যাকাউন্ট হিসেবে পরিচালিত হচ্ছিল।
ইউটিউবের আয় নীতিমালায়, অন্যের কনটেন্ট ব্যবহার করা যাবে কেবল তখনই, যখন তা যথেষ্ট পরিমাণে পরিবর্তন করে সৃজনশীলভাবে উপস্থাপন করা হবে। শুধু ভিউ পাওয়ার জন্য এ ধরনের কনটেন্ট তৈরি করা যাবে না।
ডেডলাইনকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইউটিউব জানিয়েছে, ‘আমাদের যেকোনো শাস্তিমূলক সিদ্ধান্ত (যেমন: ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম থেকে বাদ দেওয়া) প্রভাবিত কনটেন্ট নির্মাতা মালিকানাধীন বা পরিচালিত সব চ্যানেলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে।
এদিকে, মার্কিন অভিনয়শিল্পী ও মিডিয়া পেশাজীবীদের সংগঠন এসএজি–এএফটিআরএ জানিয়েছে, তারা এই পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।