পার্লামেন্টে কাতালোনিয়ায় স্বাধীনতার ঘোষণা


টাইমস অনলাইনঃ | Published: 2017-10-11 06:36:10 BdST | Updated: 2025-05-25 06:57:32 BdST

স্পেনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল কাতালোনিয়াকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেছে কাতালান নেতা কার্লোস পুজেমন। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ছয়টায় পার্লামেন্টে তিনি এই স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।

ঘোষণায় তিনি বলেন, `ভোটের মাধ্যমে জনগণ স্বাধীনতার পক্ষে রায় দিয়েছে এবং আমি এটি নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চাই। জনগণের আকাঙ্ক্ষিত স্বাধীন রাষ্ট্রের ইচ্ছাকে অনুসরণ করতে ‍চাই। কাতালোনিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে এই ঐতিহাসিক মূহূর্তে আমি ঘোষণা করছি, কাতালোনিয়াকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে আমার জনগণের যে ইচ্ছা, আমি সেই ইচ্ছার বাস্তবায়নে কাজ করতে চাই।’

বিজ্ঞাপন

স্বাধীনতার এই উদ্যোগ সম্পর্কে যেসব স্প্যানিশরা ধারণা করেছিলেন, আলোচনার সুযোগ ছিল তাদের প্রতি আমাদের সুন্দর ও সম্মানের বার্তা। আমরা উন্মাদ নই, আমরা বিদ্রোহী নই, আমরা সেই স্বাভাবিক মানুষ যারা শুধু ভোট চেয়েছিলো। স্পেনের বিরুদ্ধে আমাদের কিছুই নয়, এটা ভিন্নমত, আমরা আমাদের নিজেদের মধ্যে আরও ভাল বোঝাপড়ার সম্পর্ক গড়তে চেয়েছিলাম। আমরা ১৮বার চেষ্টা করেছি। আমরা শুধু স্কটিশদের মতো একটা গণভোট চেয়েছিলাম যেখানে সবাই তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারবে। কিন্তু আমাদেরকে বার বার অস্বীকার করা হয়েছে।

স্পেনকে দ্বিখণ্ডিত করার পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যে মঙ্গলবারের এই অধিবেশন এক ঘণ্টা পেছানো হয়। পার্লামেন্টে অধিবেশন শুরুর আগে কাতালান নেতারা বৈঠক করেন। পার্লামেন্টের বাইরে জনগণের প্রবেশ বন্ধ করতে পুলিশ ঘেরাও করে রাখে। পুজেমনের বক্তব্যের সময় ওই এলাকায় স্বাধীনতাপন্থীদের বড় ধরনের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছিল।

এদিকে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানো রাজয় বলেছেন, যে কোনো ধরনের স্বাধীনতার ঘোষণা যাতে কার্যকর না হয় তার জন্য তিনি সব ধরনের পদক্ষেপ নেবেন।

স্পেনের বিত্তশালী অঞ্চল কাতালোনিয়া। জনসংখ্যা ৭৫ লাখ। অঞ্চলটির নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি রয়েছে। পাঁচ বছর ধরেই স্বাধীনতার কথা উঠছে। তবে ২০১৫ সালে কাতালোনিয়ার প্রাদেশিক পার্লামেন্ট নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পান সেখানকার স্বাধীনতাকামীরা।

বিজ্ঞাপন

নির্বাচনের ওই ফলের মধ্য দিয়ে স্পেন থেকে পৃথক হয়ে নতুন রাষ্ট্র গঠনের পথে এক ধাপ এগিয়ে যায় কাতালোনিয়া। কাতালোনিয়া কর্তৃপক্ষ স্বাধীনতা নিয়ে ১ অক্টোবর গণভোটের আয়োজন করে। স্পেন সরকার ওই গণভোটকে বেআইনি বলে আখ্যা দেয়। ওই গণভোটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে কয়েক শ আহত হয়।

 এমএসএল